নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজলার হারবাং ইউনিয়নের উত্তরে আজিজ নগর পেট্টোল পাম্পের সামনে ব্যারিকেট দিয়ে সুপারী বোঝাই একটি পিকআপ গাড়ি ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার বিকাল আনুমানিক তিনটার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উল্লেখিত স্থানে ঘটেছে গাড়ি ছিনতাইয়ের এঘটনা। এ ঘটনায় পিকআপ গাড়ির মালিক চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের রোস্তমআলী চৌধুরী পাড়ার শব্বির আহমদের ছেলে নাজমুল সাঈদ বাদি হয়ে গতকাল চকরিয়া থানায় একটি এজাহার জমা দিয়েছেন।
এজাহারে ১০ জনের নাম উল্লেখ্য ছাড়াও আরো ১০-১২জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন উত্তর হারবাং গাইনাকাটা গ্রামের জিনাত আলীর ছেলে মিজান (৩২), চকরিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের স্টেশনপাড়ার রাসল (৩৩), চকরিয়া পৌরসভার পালাকাটা, ৭নং ওয়ার্ডের জয়নাল ড্রাইভারের ছেলে তহিদুল ইসলাম (২৬), পুর্ববড় ভেওলা ঈদমনি গ্রামের রমজান আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান (৩৮), হারবাং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গাইনাকাটা গ্রামের আবদুল হাকিমের ছেলে ফরিদুল আলম (৪৫), জিনাত আলীর ছেলে শাহাজাহান (৩০) মাজহার আহমদের ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৮), আকবর আহমদের ছেলে মো. হারুন (২৪), রমজান আলীর ছেলে আবদুর রহমান (২৭) ও আজিজ (২৫)।
গাড়ির মালিক নাজমুল সাঈদ এজাহারে বলেন, ঘটনার দিন শনিবার ৩০ অক্টোবর বিকাল আনুমানিক তিনটার দিকে চট্টগ্রাম থেকে সুপারী ভর্তি করে চকরিয়া ফিরছিলেন তাঁর গাড়িটি। ওইসময় গাড়িটি চকরিয়া উপজলার হারবাং ইউনিয়নের উত্তরে আজিজ নগর পেট্টোল পাম্পের সামনে পৌঁছলে ঘটনাস্থলে অন্য একটি গাড়ি করে এসে এজাহারনামীয় আসামিরা ব্যারিকেট দিয়ে চালক মোহাম্মদ সাকিবকে নামিয়ে মারধরের পর সুপারীসহ পিকআপ গাড়িটি নিয়ে আসামীরা গাড়িটি চালিয়ে পালিয়ে যায়।
গাড়ির মালিক জানান, ছিনতাইকালে পিকআপ গাড়িতে প্রায় দুই লাখ ৮০ হাজার টাকার অন্তত ৪০বস্তা সুপারী ছিল। ঘটনার সময় চালক সাকিবকে সর্বশরীরে কিল, ঘুষি লাথি মেয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে তাঁর ব্যবহৃত একটি মোবাইল সেট (যার মূল্য ২৩ হাজার টাকা) এবং গাড়িতে থাকা ভাড়ার নগদ ২৮ হাজার টাকা লুটে নেয়। ওইসময় আমার গাড়ীর চালক ও হেলফার শোর চিৎকার করলে ঘটনাস্থলে আশপাশের লোকজন আসার এগিয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওসমান গনী বলেন, সুপারী বোঝাই পিকআপ গাড়ি ছিনতাইয়ের বিষয়ে একটি এজাহার জমা দিয়েছেন গাড়িটির মালিক। বিষয়টি তদন্তের জন্য হারবাং পুলিশ ফাঁিড়র আইসিকে নির্দেশ দিয়েছি।
পাঠকের মতামত: